• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কুলাউড়ায় ফানাই নদী খনন ও বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের লক্ষে পাউবোর প্রকৌশলীর পরিদর্শণ

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১৯, ২০১৮

গিয়াস উদ্দিন: সারি সারি চা-বাগানের অপরুপ সৌন্দর্যঘেরা দৃষ্টি নন্দিত কর্মধা গ্রামের উচুঁ নিচু পাহাড়ের অাঁকাবাকা পথ বেয়ে ছুটে চলেছে কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফানাই নদীর বহমান ধারার স্রোত। এই নদীর স্রোতের বাণে ভেসে গিয়ে কৃষকের ফলানো কষ্টের ফসল তলিয়ে যায় নিমিষেই। বর্ষা এলেই ফানাই নদী রাক্ষুষে রুপ ধারণ করে তীরে বসবাসকারী মানুষের ঘর-বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে নিয়ে তার আসল রুপ মেলে ধরে। ফানাই নদীর তীরবর্তী মানুষের দুঃখ দুর্দশার অবসানের জন্য চলতি বছরের গত জুন মাসে উপজেলা পরিষদের একটি সাধারন সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতে ফানাই নদীকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে নেওয়ার জোরালো দাবি উপস্থাপন করেন এবং ফানাই নদীর খনন ও নদীর দুই তীরে বাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানান ১৩ নং কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ রহমান আতিক । মৌলভীবাজার ২ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন ও কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ.স.ম কামরুল ইসলাম ঐ দাবি গোলোর ব্যাপারে সম্মতি পেশ করেন।আজ শনিবার ১৮ আগস্ট সকালে ফানাই নদী খনন ও নদীর দুই তীরে বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী সরোয়ার উদ্দিন সরজমিন ফানাই নদীটি পরিদর্শন করেন। ফানাই নদী পরিদর্শণকালে উপস্থিত ছিলেন ১৩ নং কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান এম. এ রহমান অাতিক।ফানাই নদীর তীরে বসবাসকারী কলছুমা বেগম মুঠোফোনে জানান,ফানাই নদীর খনন হবে খবরটি জানতে পেরে আমরা তীরের মানুষ খুবই আনন্দিত। আমাদের কষ্টের ফলানো ফসল ও ঘরবাড়ি আর পানির নিচে তলিয়ে যাবে না।কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক মুঠোফোনে জানান,ফানাই নদীর তীরবর্তী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কর্মধা অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ফানাই নদী খনন হলে তীরবর্তী মানুষের আর দুঃখের দাহনে পুড়তে হবে না।আমার দাবিগোলোতে সম্মতি দেওয়ায় সর্বোপরি আমি কুৃলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ.স.ম কামরুল ইসলাম ও এমপি আব্দুল মতিন মহোদয়কে ধন্যবাদ ও কৃতঙ্গতা জানাই।