• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

কুলাউড়ায় গাছখেঁকো ছাগল বেঁধে রাখাকে কেন্দ্র করে শিশুর প্রতি সহিংসতা

admin
প্রকাশিত মে ২০, ২০২০
কুলাউড়ায় গাছখেঁকো ছাগল বেঁধে রাখাকে কেন্দ্র করে শিশুর প্রতি সহিংসতা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গাছখেঁকো ছাগল বেঁধে রাখাকে কেন্দ্র করে শাকিল খান নামে ৮ বছরের এক শিশুর প্রতি সহিংসতা চালিয়েছে ওই শিশুর চাচা, দুই চাচী ও চাচাতো ভাই। হামলা-ভাংচুর-লুটপাটের মাধ্যমে ক্ষতিসাধন করা হয়েছে আনুমনিক ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার। শিশুর প্রতি সহিংসতা ও হামলা-ভাংচুর-লুটপাটের এ ঘটনাটি ঘটেছে ১১ মে সোমবার সন্ধা ৬টায় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নস্থিত কলিমাবাদ গ্রামে। এ ঘটনায় সহিংসতার শিকার শিশুটির আপন চাচা সায়েল খান লিখিত অভিযোগ দায়েরের ৭ দিন অতিক্রান্ত হলেও মামলা রেকর্ড করেনি কুলাউড়া থানা।

থানায় দায়েরী লিখিত অভিযাগ সূত্রে জানা গেছে- নিজ বসতবাড়ীর পান গাছ খেতে দেখে একই বাড়ীর বাসিন্দা চাচাতো ভাই বাদল খান ওরফে মুসলিম খানদের ১টি ছাগল উঠানে বেঁধে রাখেন শিশুটির পিতা সহিদ খান। পরবর্তীতে বাদল খান ওরফে মুসলিম খান, তার পুত্র রায়েল খান, স্ত্রী রোমানা বেগম ও ছোটভাইয়ের স্ত্রী আমিনা বেগম উঠানে এসে ছাগলটি নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে সহিদ খানের ৮ বছর বয়সী শিশুপুত্র শাকিল খান বাধা দিলে আসামীরা তার উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারপিট করে। তাদের বেধড়ক মারপিটে একপর্যায়ে শিশু শাকিল খানের হাতের ৩টি আঙ্গুল কেটে যায়। এসময় তার শোর চিৎকারে পিতা সহিদ খানসহ শামীম মিয়া, আলাল খান, সিরাজুল হক, জালাল খান ও মোনায়েম খান এগিয়ে আসলে আসামীরা তাদের উপরও চড়াও হয়। হামলা ও ভাংচুর করে বসতঘর। লুট করে নেয় নগদ ২ লাখ টাকা ও সহিদ খানের বোন চুমকী খানমের গলায় থাকা লকেটযুক্ত স্বর্নের হার। একপর্যায়ে আসামীরা বেধে রাখা ছাগল এবং লুন্ঠিত টাকা স্বর্নালংকার নিয়ে নিজেদের বসতঘরে চলে যায়। ঘটনার পর শিশু শাকিল খানকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার হাতের আঙ্গুলে ৩টি সেলাইসহ চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনার ব্যাপারে পরদিন ১২ মে সহিংসতার শিকার শিশু শাকিল খানের আপন চাচা সায়েল খান বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় বাদল খান ওরফে মুসলিম খান, তার পুত্র রায়েল খান, স্ত্রী রোমানা বেগম ও ছোটভাইয়ের স্ত্রী আমিনা বেগমকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় এসআই সেলিমকে। এরপর ৭ দিন অতিক্রান্ত হলেও আজ পর্যন্ত অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করেনি কুলাউড়া থানা। এ ঘটনার ব্যাপারে ১৫ মে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে কুলাউড়া থানার ওসি বজ্রকণ্ঠ ডটকমকে জানান, তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে মামলা রেকর্ড করা হবে। এরপর কেটে গেছে আরও ২ দিন। কিন্তু, রহস্যজনক কারণে মামলা রেকর্ড হয়নি আজও। ভূক্তভোগী সায়েল খান এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।