• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের নানা আয়োজনে স্থানীয়ভাবে শহীদ দিবস পালিত

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২০, ২০২১
মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের নানা আয়োজনে স্থানীয়ভাবে শহীদ দিবস পালিত

 মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ- নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারে স্থানীয় শহীদ দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার চারদিন পর ২০ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর ফেলে যাওয়া মাইন বিস্ফোরণে ২৪ জন মুক্তিযোদ্ধা মারা যান। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দিবসটি পালন উপলক্ষে সকালে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা শেষে সভাপতি ছালেহ আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ চৌধুরী সুমনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি বেলাল তালুকদার, মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মামুনুর রহমান চৌধুরী মসু, সাংবাদিক ও কবি জাবেদ আহমেদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ রুহুল আলম রনি প্রমূখ। জানাযায়, ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলা (তৎকালীন মহকুমা) শক্রমুক্ত হয়। তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজ পতাকা। মৌলভীবাজারবাসী দীর্ঘদিন ধরে ২০ ডিসেম্বরকে স্থানীয় শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। ’৭১ সালের এই দিনে বাড়িতে ফেরার উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধারা মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপন করা অস্থায়ী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে একটি কক্ষে শহরের বিভিন্ন জায়গায় মাটিতে পাকিস্তানি বাহিনীর পুঁতে রাখা মাইনগুলো উদ্ধার করে রাখা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন বিজয় উল্লাসে ব্যস্ত। হঠাৎ উদ্ধারকৃত মাইন বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বিদ্যালয় এলাকা। মুহূর্তের মধ্যে ২৪ জন মুক্তিযোদ্ধার দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে এই ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহগুলো একত্রিত করে বিদ্যালয় মাঠের এক পাশে হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সবাইকে সমাধিস্থ করা হয়। এর পর থেকে দিনটিকে স্থানীয় শহীদ দিবস হিসেবে পালন করেন মৌলভীবাজারবাসী। এই দিনে যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন, তাঁরা হলেন সুলেমান মিয়া, রহিম বক্স খোকা, ইয়ানূর আলী, আছকর আলী, জহির মিয়া, ইব্রাহীম মিয়া, আব্দুল আজিজ, প্রদীপ চন্দ্র দাস, শিশির রঞ্জন দেব, সত্যেন্দ্র দাস, অরুণ দত্ত, দিলীপ দেব, সনাতন সিংহ, নন্দ লাল বাউরী, সমীর চন্দ্র সেন, কাজল পাল, হিমাংশু পাল, জিতেশ চন্দ্র দেব, আবদুল আলী, নূরুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, আশুতোষ দেব, তরণী দেব ও নরেশ চন্দ্র ধর।