পৌর আ’লীগ সম্পাদক এমদাদুল হক মিন্টুর সহায়তায় মৌরসী দোকানভূমি জবরদখল

ডিসেম্বর ০৫ ২০১৮, ২২:১৫

নিজস্ব  প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারে পৌর আ’লীগ সম্পাদক এমদাদুল হক মিন্টুর বড়বোনের মৌরসী দোকানভূমি জবরদখল করে নিলেন ছোটবোন। এসময় ছোটবোন, তার পুত্র, উক্ত দোকানভূমির ভাড়াটে ও তাদের সহযোগীদের হামলায় আহত হয়েছেন বড়বোন।
৪ ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিনের বেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র পশ্চিমবাজারে সংঘটিত এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছোটবোনের পুত্রসহ ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আহত বড়বোনকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছোটবোন, তার পুত্র, উক্ত দোকানভূমির ভাড়াটে ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন বড়বোন। এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত পৌর আ’লীগ সম্পাদকের নেতৃত্বে ছোটবোন ও তার অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা জবরদখলকৃত উক্ত দোকানভূমি পাহাড়ারত ছিলেন।

মামলার বিবরনে বলা হয়, মৌলভীবাজার শহরের দরগা মহল্লা এলাকার মৃতঃ আঃ রফিক ওরফে মো: রকিবের ত্যাজ্যবিত্ত, শহরের কুদরত উল্লা রোডস্থ পশ্চিম বাজার পয়েন্টস্থিত দোকানকোঠাসহ ০.৪৮ শতাংশ ভূমির উত্তরাধিকার তার দুই কন্যা ফাতেমা বেগম (৪২) স্বামী- খলিলুর রহমান এবং সুলতানা বেগম (৪০), স্বামী- মৃতঃ আব্দুল ছোবহান একলিম।
ইতিপূর্বে বড়বোন ফাতেমা ও ছোটবোন সুলতানা উক্ত দোকানঘরটি সোনাপুর বড়বাড়ী এলাকার রমজান আলীর পুত্র রমিজ আলীর নিকট ভাড়া দেন- তাতে রমিজ আলী ফলের ব্যবসারত। প্রায় ৩ বছর পূর্বে রমিজ আলীর প্ররোচনায় ছোটবোন সুলতানা ও তার পুত্র তানভীর হাসান (২৪) তাদের আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় দোকানঘরের ভাড়ার টাকা এককভাবে ভোগ করতে থাকেন এবং দোকানঘরটি জবরদখলের পায়তারায় লিপ্ত হন। বিষয়টি বুঝতে পেরে বড়বোন ফাতেমার স্বামী খলিলুর রহমান এবং তার বাসার ভাড়াটে জায়েদ খান (২৭) মিলে দোকানঘরের ফাতেমার অংশে মাইক সার্ভিস ব্যবসার উদ্দেশ্যে ১২টি মাইকের হর্ণ. ২টি মাইকের মেশিন, ২টি ব্যাটারীসহ আনুষাঙ্গিক মালামাল নিয়ে   ৪ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টায় ফাতেমাসহ দোকানঘরে উপস্থিত হন এবং বড়বোন ফাতেমা তার অংশ বুঝিয়ে দিতে বললে পৌর আ’লীগ সম্পাদক এমদাদুল হক মিন্টুর নেতৃত্বে ছোটবোন সুলতানা, তার পুত্র তানভীর, দোকানভূমির ভাড়াটে রমিজ আলী ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে লোহার রড, কাঠের বর্গা, শাবল, হকিস্টিক, ধারালো দা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। তানভীর ও রমিজ পড়নের কাপড় চোপড় টানা-হ্যাচড়া করে বড়বোন ফাতেমার শ্লীলতাহানি ঘটায়। ছোটবোন সুলতানা দুহাতে বড়বোন ফাতেমার গলায় চেপে শ্বাসরুদ্ধ করে প্রাণে হত্যার চেষ্টা চালান। অন্যান্যরা তাকে মারপিট করে ফুলা জখম করে। এসময় তার স্বামী খলিল ও তার বাসার ভাড়াটে জায়েদ তাকে রক্ষার চেষ্টা করলে তাারাও পিটুনীতে আহত হন। একপর্যায়ে ছোটবোন সুলতানা বড়বোন ফাতেমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন। তানভীর, রমিজ ও অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা ১২টি মাইকের হর্ণ, ২টি মাইকের মেশিন, ২টি ব্যাটারীসহ আনুষাঙ্গিক মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আক্রান্তদের শোর-চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে ছোটবোন ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকী ধামকি প্রদর্শন করে বলে এ ঘটনায় কোন মামলা মোকদ্দমা করলে বড়বোন ফাতেমাকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে।