বড়লেখায় বন্ধ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বিপাকে দোকানিরা, গলার কাটা ভাড়া

মে ০২ ২০২০, ২১:২৫

মস্তফা উদ্দিন, বড়লেখা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউনে সারা দেশ। বর্তমান এই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখিন হচ্ছে সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। অনেকে রয়েছেন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। লকডাউনের ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো রয়েছে বন্ধ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাই দোকান ভাড়া আর কর্মচারি বেতন পরিশোধে বিপাকে পড়েছেন ব্যাবসীরা।
বর্তমান এ পরিস্হিতিতে বড়লেখা পৌরশহরের ও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ব্যবসায়ীদের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দোকান ভাড়া ও কর্মচারিদের বেতন পরিশোধ বিষয়টি। দোকান ভাড়া আর বেতন পরিশোধে নতুন এক অনিশ্চয়তার দিকে ব্যবসায়ীদেরকে ঠেলে দিচ্ছে। কবে খুলবে ব্যাবসা প্রতিস্ঠান।
পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, করোনা ভাইরাসের জন্য উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে কাঁচাবাজার, মুদি দোকান, নিত্যপন্য ও ফার্মেসি ছাড়া অন্যান্য সব দোকান বন্ধ রয়েছে। দোকান ভাড়া নিয়ে যখন অনেক ব্যবসায়ী চিন্তায় দিশেহারা। ঠিক এই মূহুর্তে উপজেলার হাট-বাজারের কয়েকজন দোকান মালিক তাদের অধীনস্থ দোকান ভাড়া মওকুফ করেছেন। কিন্তুু পৌর শহরের মার্কেট গুলোর মালিক তাদের অধীনস্থ দোকান ভাড়া মওকুফের বিষয় এখনও অনিশ্চয়তায় রয়েগেছে।
পৌর শহরের হাজি মেমোরিয়াল মার্কেটের কচি বস্তালয়ের স্বত্বাধিকারী ছাইদুল ইসলাম ‘প্রতিবেদককে বলেন, করোনা মহামারীতে ব্যবসা বন্ধ থাকার কারণে আমরা অনেক সংকটে আছি। দোকানের মাসিক ভাড়া ও ব্যবসায়িক লেনদেন অার কর্মচারীদের বেতন নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। ভিবিন্ন জায়গায় মার্কেটের মালিক পক্ষ ভাড়া মওকুফ করেছেন, তবে আমাদের মার্কেটের মালিক এখন ভাড়ার কথা বলেন নি। কিন্তুু দোকান ভাড়া, কর্মচারি বেতন দেয়া এখন অনেক কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে।
হেপী কমপ্লেক্স এর ব্যাবসায়ী কিডস ফেয়ার র’ স্বত্বাধিকারী জাবের আহমদ বলেন, ব্যবসা বন্ধ থাকার কারণে আমরা আর্থিক সংকটে দিন অতিবাহিত করছি। মাসিক ভাড়াটা দেয়া এখন অনেক কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে।
জহির ম্যানশন এর মুন সেরওয়ানী দোকানের স্বত্বাধিকারী তাহমিদ ইরশাদ রিপন বলেন,গত মার্চ থেকে লকডাউনের কারনে দোকান বন্ধ রয়েছে। ব্যাবসা না থাকায় দোকান ভাড়া কর্মচারি বেতন দেয়াটা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আশা করছি শীঘ্রই দোকান মালিক ভাড়ার জন্য সহযোগিত করবেন। কবে এ অচালাবস্থা কাটবে তানিয়ে ও অনিশ্চতায় আছি।
এছাড়াও বড়লেখা পৌরশহরের ও হাট-বাজারের অনেক ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে একই ধরণের সমস্যার কথা জানা গেছে। দোকান ভাড়া মওকুফ করতে দোকান মালিকদের প্রতি অনুরোধও জানিয়েছেন অনেকে।
এব্যায়াপারে বড়লেখা পৌরশহরের হাজিগন্জ বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছাদ উদ্দিন,বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনে অনেক ব্যাবসা প্রতিস্ঠান বন্ধ রয়েছে। বড়লেখায় উপজেলা প্রশাসনের দির্নদেশনায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া অন্যান্য সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো রয়েছে বন্ধ। এতে ব্যাবসায়ীরা অনেক খতির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে দোকান ভাড়া কর্মচারি বেতন দেয়াটা তাদের জন্য কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই আমরা মানবিকতার জন্য বনিক সমিতির পক্ষ থেকে মার্কেটের মালিক ও অন্যান্য দোকান মালিকদের সাথে অালোচনা করে দোকান ভাড়া মওকুফের জন্য অনুরুদ করবো।