• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বঙ্গবীর ওসমানীর শত বছর জন্ম বার্ষিকী উদযাপনের উদ্যাগ

admin
প্রকাশিত জুলাই ২৩, ২০১৮

শাহ‌নেওয়াজ চৌধুরী সুমন : পা‌কিস্তা‌নি জেনারেল তাচ্ছিল্য করে বলেছিল ‘তোমার হাইট যেখানে রিকয়ারমেন্টের থেকে কম সেখানে কীভাবে সাহস কর জেনারেল রেঙ্ক নিতে?’সোজা তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলেছিল- ‘Napoleon was two inches lower than me!!’ । তি‌নি আর কেউ নন মরহুম বঙ্গবীর আতাউল গণি ওসমানী । এমন এক ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর জীবন কর্মকালীন এবং চিন্তা-ভাবনা দেশ ও জাতির জন্য উৎসর্গ করে অমর হয়ে রয়েছেন এ দেশবাসীর হৃদয়ে।

আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে এই মানুষটি আজ কেন এতটা বিস্মৃত ? অথচ তিনিই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী। প্র‌তি‌টি ১লা সেপ্টেম্বর তার জন্মবার্ষিকীর দিনটিতে কি আমরা তাকে একটু স্মরণ করতে পারি না?

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর শত বছর জন্ম বার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে ২১ জুলাই শনিবার পূর্ব লন্ডনের ভ্যালেন্স রোডের একটি হলে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাপ্তাহিক বাংলা পোস্টের চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কমিউনিটি নেতা কে এম আবুতাহের চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবীর ওসমানী ট্রাষ্ট ইউকের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম খান, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মোস্তফা, কমিউনিটি নেতা গোলাম রব্বানি, সাংবাদিক খান জামাল নুরুল ইসলাম, কবি শেখ শামসুল ইসলাম, কবি ও কলামিস্ট শিহাবুজ্জামান কামাল, এইচ.এস.‌বি.‌স‌ি ব্যাংক কর্মকর্তা ও সমাজসেবী সৈয়দ সোহেল আহমদ প্রমুখ । সভায় আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর রোববার জেনারেল ওসমানীর শতবছর জন্ম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে একটি সেমিনার ও স্মরনিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগামী ২৮ জুলাই শনিবার অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী সভায় শতবর্ষ উদযাপন কমিটি গঠন করা হবে।

আমাদের মুক্তির জন্য, আমাদের স্বাধীনতার জন্য, আমাদের জাতিসত্তার মর্যাদার জন্য যারা আত্মোসর্গের ইতিহাস সৃষ্টি করে গেছেন আমরা তাদের জন্য কি করতে পেরেছি? যে ওসমানী সময়ানুবর্তিতা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ধারক ও বাহক ছিলেন, যিনি মূল্যবোধ সৃষ্টির অনুকূলে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন—যিনি নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাতির ক্রান্তিলগ্নে বৃহত্তর স্বার্থে, সার্বিক কল্যাণের জন্য শতবাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে এগিয়ে এসেছেন বেঁচে থাকার শেষ দিন পর্যন্ত, তাঁর জন্য মৃত্যুর পর আমরা কি করতে পেরেছি? তাঁর মহান আদর্শকে, তাঁর জীবনের শিক্ষণীয় দৃষ্টান্তগুলোকে আমরা যদি কিছুমাত্র অনুসরণ করতে পারি এবং নিজের জীবনে তাঁর অমূল্য আদর্শের সামান্যতম প্রতিফলন ঘটাতে পারি তবেই তাঁর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন সম্ভব হতে পারে।

উল্লেখ্য, খান বাহাদুর মফিজুর রহমান ও জুবেদা খাতুনের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছেলে ওসমানী ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর পিতার কর্মস্থল সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক স্থায়ী নিবাস সিলেট থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বালাগঞ্জ থানার দয়ামীর নামক স্থানে।