• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

নভেল করোনাভাইরাস  নিয়ে দরকারী কথা, কিছু তথ্য  – খছরু চৌধুরী

admin
প্রকাশিত মার্চ ২০, ২০২০
নভেল করোনাভাইরাস  নিয়ে দরকারী কথা, কিছু তথ্য  – খছরু চৌধুরী

গরমে করোনাভাইরাস টিকতে পারে না  উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে না । এরকম কয়েকটি কথা চালু করা হয়েছে। জানা ও অর্ধ-জানা পর্যায় থেকে এই কথাগুলোর সমর্থনও রয়েছে। ফেসবুকে এতদবিষয়ক কয়েকটা পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। চীন, ইরান, ইতালীর তাপমাত্রা দেখিয়ে বলা হচ্ছে – এসব দেশে এখন শীতকাল, কোথাও তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রীর বেশি না। সে কারণেই সেখানে করোনাভাইরাস এত ছড়িয়েছে। গ্রীষ্মকাল এলেই করোনাভাইরাস থেমে যাবে। একজন ডাক্তারের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখলাম তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন, ২৩ ডিগ্রী পার হলেই করোনাভাইরাস বাঁচবে না। এপ্রিলের দিকে করোনাভাইরাস থেমে যাবে। এসব পোস্টে নানান দেশের গবেষকের রেফ্রারেন্সও দেয়া হচ্ছে। আমাদের দেশের ফেসবুকেই শুধু না, খোদ মার্কিন রাজ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জানিয়েছেন, “তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে অলৌকিকভাবে ভাইরাস নাই হয়ে যাবে (when temperatures rise the virus will  miraculously go away)  ট্রাম্প এই আশাবাদের পেছনে রেফারেন্স হিসেবে চীনা প্রেসিডেন্টকে মেনেছেন! শি জিন পিং নাকি নিজেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একথা জানিয়েছেন। সে কারণেই ডোনাল্ড ট্রাম্প সে গভর্নরদের এক বৈঠকে আবারো বলেছেন, “যে ভাইরাস নিয়ে আমরা এত কথা বলছি, অনেক মানুষ বিশ্বাস করে তা এপ্রিলের গরমের সাথে সাথে চলে যাবে। যখন গরম পড়বে, তখন- মানে এপ্রিলে এই ভাইরাস চলে যাবে (১)।” মজার ব্যাপার হচ্ছে  ট্রাম্প একটু কষ্ট করে নিজ দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিডিসি’র (Center for Disease Control and Prevention) ওয়েবসাইটে (২) এ সম্পর্কিত আলোচনাটুকু পড়লে এরকম ভুল আশ্বাস ছড়াতেন না! সিডিসি’র ওয়েবসাইটে ফ্রিকুয়েন্টলি আস্কড কোয়েশ্চেয়ন্স সেকশনে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, “করোনাভাইরাসের উপরে আবহাওয়া ও তাপমাত্রার প্রভাব আছে কি না বা নাই সেটা এখনো জানা যায়নি।

সাধারণ ঠান্ডায় ভাইরাস ও ফ্লু, যা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বেশি ছড়ায় ঠিকই কিন্তু তার মানে এই না যে এসব ভাইরাসে গরমকালে কেউ আক্রান্ত হতে পারে না। এই মুহুর্তে এটা বলা যাচ্ছে না যে, COVID-19  এর প্রকোপ গরম আবহাওয়ায় কমে যাবে। এখনো করোনা ভাইরাসের সংক্রমন, এর ভয়াবহতা ও অন্যান্য নানা দিক সম্পর্কে আমাদের জানার সীমাবদ্ধতা আছে এবং গবেষণা চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ((WHO) তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে (*৩) জানিয়েই দিয়েছেন, এখন পর্যস্ত প্রাপ্ত প্রামাণিক তথ্যাদি থেকে দেখা গিয়েছে যে করোনা ভাইরাস-১৯ সমস্ত এলাকাতেই ছড়িয়েছে, এমনকি উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়াতেও ছড়িয়েছে (From the evidence so far, the COVID-19 virus can be transmitted in ALL AREAS, including areas with hot and humid weather)| গ্রীষ্মের কাঠফাঁটা রোদেই যদি দেশ থেকে সব করোনাভাইরাস উধাও হয়ে যেত, তাহলে বাংলাদেশের চাইতেও অনেক উষ্ণ দেশ সেই ইরান, সৌদি আরবে এতদিন ধরে এরকম সংক্রমণ সংখ্যা দেখা যেত না। ইরানে না-হয় এখনো শীতকাল চলছে, তাপমাত্রা ১৫-২০ সে. এর মতো। কিন্তু, মক্কায় এরই মধ্যে ৩০ ডিগ্রী সে. পেরিয়েছে। ট্রপিক্যাল দেশ ইন্দোনেশিয়ায় সবসময়ই গ্রীষ্ম,  তাপমাত্রা থাকে ৩০ এর উপরে, আদ্রতাও সারা বছর বেশি থাকে। সেখানেও ১১৭ জন আক্রান্ত মিলেছে। ৫ জন মারাও গিয়েছেন। আর অস্ট্রেলিয়ায়? দক্ষিণ গোলার্ধে তো এখন গ্রীষ্মকাল। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় ৩৭৫ জন আক্রান্ত মিলেছে, মরেছেন ৫ জন। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস, কুইন্সল্যান্ড আর ভিক্টোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। অথচ অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অন্য অঞ্চলের চাইতে এই এলাকাগুলোর বরং উষ্ণতা বেশী! এবারের করোনা ভাইরাসই শুধু নয়, এর আগেও করোনা ভাইরাসের আরেকটি স্পেসিস মানে মারস (MERS: Middle East Respiratory Syndrome)  এর উৎপত্তি কিন্তু মিডল ইস্টের সেই উষ্ণ মরু-দেশগুলো থেকেই হয়েছিলো। সাধারণভাবে, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সহ যেকোন রোগ-জীবাণুই উচ্চ তাপ মাত্রায় টিকতে পারে না। ফলে পানি ভালো করে ফুটিয়ে পান করতে বলা হয় (পানিবাহিত জীবাণু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে), মাংসও খুব ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে বলা হয় (পশুবাহিত রোগ জীবাণুর হাত থেকে রক্ষার জন্যে) এবং এর সাথে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টিও জড়িত। কিন্তু, করোনা ভাইরাস যখন কোন উপরিভাগে পড়ে থাকে, তা’ কতক্ষণ কত ডিগ্রী তাপমাত্রা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে এখনো জানা যায়নি। সূর্যের আলোতে যে অতিবেগুনি রশ্মি আছে তা ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া-সহ রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে দেয়, এ কথাও ঠিক। তারপরেও ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে খুশি হওয়া যাচ্ছে না। কেননা, এই ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে ডিরেক্ট হিউম্যান কন্ট্যাক্ট থেকে এবং সামনা সামনি সর্দি-হাচির মাধ্যমে, বাতাসে ড্রপলেট একজন থেকে অন্যজনে চলে গিয়ে। মানে-হোস্ট-মানবদেহটাই বস্তুত সেই কাঠফাঁটা রোদ থেকে ভাইরাসকে সবচাইতে বড় প্রোটেকশন দিচ্ছে। আর যেসব বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে বা স্থাপনায় ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে, সেগুলোর সবই নিশ্চয়ই আউটডোরে বা ওপেন ফিল্ডে না। ইনডোরে, বিল্ডিং এর সিড়ির হাতল, লিফটের বাটন, পাবলিক টয়লেটের দরজার হাতল ইত্যাদি জায়গা পর্যন্ত কি কাঠফাঁটা রোদ পৌঁছতে পারবে? এছাড়া আউটডোরের খুব সচল বা জনবহুল স্থাপনা, যেমন ওভারপাসের সিড়ির হাতল, এ ধরণের স্থাপনাতেও রোদে বা গরমে ভাইরাস নষ্ট হয়ে যাওয়ার আগেই কিন্তু আরেকজনের হাতের বা শরীরের সংস্পর্শে চলে আসতে পারে।

কাজেই, ঐসব ভাইরাল পোস্টে, ভিডিওতে আরেকটি দাবি করা হচ্ছে যে, গরম দেশে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের সবাই নাকি চীন বা ইতালি বা ইরান ট্রাভেল করে এসেছেন। এটাও সঠিক না। অস্ট্রেলিয়ার আক্রান্তদের ব্যাপারে ওদের সরকারি ওয়েবসাইটে (*৪) বিস্তারিত বলা হয়েছে। ২৯৮ জন কনফার্মড কেইসের মধ্যে ১১৫ জন চীন, ইরান, ইতালি, জাপান – এসব দেশ ট্রাভেল করেছেন। বাকিদের কোন ট্রাভেল হিস্টোরি নেই। ২৯ জন করোনায় আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছে, ৯ জন আক্রান্ত হয়েছে ওল্ড কেয়ার হোমে আর ২ জন আক্রান্ত হয়েছে কনফারেন্সে। একইভাবে ইন্দোনেশিয়ার একটি রিপোর্টে দেখলাম, ইন্দোনেশিয়ার প্রথম যে আক্রান্ত সে একজন জাপানির সাথে কনটাক্টে এসেছিলো ইন্দোনেশিয়াতেই। এরপরে তার মা আক্রান্ত হয়েছে। অন্য আরেকজন আক্রান্ত হয়েছে ঐ প্রথম আক্রান্তের সাথে ড্যান্স পার্টিতে ছিল। এরপরে ঐ ড্যান্স পার্টিতে থাকা সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে টেস্ট করেছে, আলাদা করে রেখেছে। এক সপ্তাহ আগে মাত্র ৪ জন থেকে এখন সেটি ১১৭ পার হয়েছে! অর্থাৎ, গরম দেশে যারা আক্রাস্ত হয়েছে, বা হচ্ছে – সবাই যে ট্রাভেল করা তা নয়!

বিজ্ঞানসম্মতভাবে যদি দেখি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে দেওয়া একটা আর্টিকেল আছে (*৫)। সায়েন্টিস্টরা বলছেন- এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না – করোনা ভাইরাসের কোন সিজনালিটি আছে কি না? সাধারণ ফ্লু ভাইরাসের ক্ষেত্রে মার্চ-এপ্রিলের দিকে আক্রান্তের হার অনেক কমে যাওয়ার কিছু এভিডেন্স থাকায়, এরকমটা মনে করছেন অনেকে। এর আগের সার্স করোনাভাইরাস-১ এর ক্ষেত্রে সেটা ২০০৩ এর জুলাই মাসের দিকে থেমে গিয়েছিলো। সেটা আবহাওয়া অবস্থার জন্যে, নাকি ভাইরাসের বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থার জন্যে – সেটা নিশ্চিত নয়। অন্য করোনাভাইরাস মার্স- কখনোই পুরাপুরি থেমে যায়নি। মাঝেমধ্যেই এর আক্রান্ত পাওয়া যায়। কিন্তু কোন সিজনাল প্রিফারেন্স এর এভিডেন্স পাওয়া যায়নি। এটা ঠিক যে, ভাইরাস উচ্চ তাপমাত্রায় টিকতে পারে না। এর চারদিকে প্রোটিনের সাথে সাথে লিপিডও (একরকম ফ্যাট) থাকে – যেটা উচ্চ তাপমাত্রায় নষ্ট হয়ে যায়। সেই সাথে এটাও ঠিক যে, সূর্যের আলোতে যে অতিবেগুনি রশ্মি থাকে – সেটা ভাইরাসকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দেয়। ল্যাবরেটরি পরীক্ষণেও দেখা গিয়েছে যে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাইরাসের বিস্তৃতি কমেছে। আর খুব উচ্চ হিউমিডিটিতে সেটা একেবারেই কমে গেছে। কিন্তু এসবের কোনটাই কোন সিজনালিটির প্রমাণ দেয় না। বরং সিজনালিটির ব্যাপারটা বুঝতে সহায়তা করবে সংক্রমণের ধরণ, ভাইরাসের ক্যারিয়ার – এসবের মধ্য দিয়ে। যেমন – ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্তের হার শীতকালে বেশি, গ্রীষ্মকালে কম। এই ব্যাখ্যায় একটা হাইপোথিসিস হচ্ছে, ইউরোপের শীতপ্রধান দেশগুলোতে শীতকালে লোকজন ইনডোরে বেশি থাকে, গ্রীষ্মকালে আউটডোরে বেশি থাকে (হিউম্যান কন্টাক্টে ছড়ায় এমন ভাইরাসের সংক্রমন ইনডোরে বেশি হয়)। ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় দেখা গেছে – হাই হিউমিডিটিতে ভাইরাস একেবারেই কম ছড়ায়। কিন্তু ট্রপিক্যাল দেশে দেখা গিয়েছে ঘোর বর্ষা সিজনে ঐ ভাইরাসে আক্রান্তের হার বেড়েছে। কেননা, সে দেশে বর্ষায় মানুষ ইনডোরে বেশি থাকে। তাহলে বিষয়টা দাঁড়ালো এই যে, একটা লোন ভাইরাস কিভাবে বাঁচে, কিভাবে মরে- এর চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, একে কে ক্যারি করছে এবং কিভাবে এটা ছড়াচ্ছে? ডেঙ্গু ভাইরাস শীতের চাইতে গরমে বেশি ছড়ায়। কেননা এর ক্যারিয়ার এডিস মশা শীতের চাইতে গরমে বেশি ডিম পাড়ে, বেশি সন্তান জন্ম দেয়। তার মানে হলো, সেই এডিস মশাই ভাইরাসকে গরম বা সূর্যেও  অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। ফ্লু বা করোনাভাইরাস ক্যারি করে মানুষ। এটা ছড়ায় – মানুষের কনটাক্টের মাধ্যমে, হাচি-সর্দি-ক্বফের মাধ্যমে। হাচি-সর্দি-শ্বাস-প্রশ্বাসের সময়ে বের হওয়া ড্রপলেট বাতাসে ভেসে, কমন পাবলিক স্থাপনায় – যেমন সিড়ির রেলিং, লিফটের বাটন, টয়লেটের হাতল ইত্যাদির মাধ্যমে। এবং খেয়াল করে দেখুন, এসবই ইনডোরে হচ্ছে। এমনকি শীতকালেও এটা আউটডোরে বেশি ছড়ায় না, কেননা বাইরে যখন মানুষ চলাচল করে, ঘুরে ফিরে – এমনিতেই তাদের মধ্যে দূরত্ব বেশি থাকে। কিন্তু একটা লোকাল বাসে, লিফটে, এসবে দূরত্ব কম থাকে; কথা বলার সময়ে আমাদের আই কন্টাক্টের অভ্যাস, আমরা হ্যান্ডশেক করি, ঘন-ঘন নাকে, মুখে হাত দেয়ারও অভ্যাস, এগুলোর মাধ্যমেই ছড়ায়। করোনাভাইরাস যে গরমে চলে যাবে, সেটা নিশ্চিতভাবে বলা মুশকিল এবং বিজ্ঞান সম¥ত কথাও নয়। আবার শীতপ্রধান দেশগুলোতে সামার ভ্যাকেশনে গেলেও যে, অনেক গরম দেশে সামার ভ্যাকেশনে যাবে, নাকি আরো বেশি করে ধ্বংস-শক্তি তৈরী হবে – সেটাও বলা যাচ্ছে না। কেননা, মরুর ঠাঁটা-রোদে লোকজন শীতকালের চাইতে গরমকালে ইনডোর অনেক বেশি প্রিফার করতে পারে। বাংলাদেশেও তো গ্রীষ্মের দুপুর বেলায় রাস্তা-ঘাট অনেক ফাঁকা হয়ে যেতে দেখি আর শীতকালে সূর্য ওঠার সাথে সাথে গরম রোদের আরাম নিতে ঘরের বাইরে এসে লোকজনকে দাঁড়াতে দেখি।

মূল বিষয়টি হলো, পারস্পরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে এবং পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ঘরে থাকি বা বাইরে থাকি, গাদাগাদি- ঠাসাঠাসি করে চলাফেরা করা যাবে না, সামনাসামনি কথা বলার সময়ে আই কনটাক্ট এড়িয়ে ও ৬-৭ ফুট দূরত্ব রেখে কথা বলতে হবে। বাংলাদেশে রোদের সুফলটা নিতে ভুলাও যাবে না, মানে- ঘরের মধ্যে সববন্ধ করে ঘাপটি মেরে না থেকে বরং জানালা খুলে ঘরে রোদ ঢুকতে দেয়া, কাথা-বালিশ-তোয়ালে নিয়মিত রোদে শুকাতে দেয়া, দরকারে ঘরের বাইরে গিয়ে রোদ গায়ে মাখানো, এগুলো প্রয়োজন। বাইরে যেতে-যে মানা করা হচ্ছে, সেটি মূলত ঘরের বাইরে যে ভীড়ভাট্টা আছে সেটা এড়ানোর জন্যে; এর মানে এই না যে, একা একাও ঘরের বাইরের রোদের মধ্যে যাওয়া যাবে না! বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক-মানসিক বাস্তবতায় বিষয়টি সচেতনতার সাথে বুঝে উঠার চেষ্টা করুন। (১৭.০৩.২০২০)

*1. https://www.marketwatch.com/…/trump-believes-coronavirus-wi…

*2. https://www.cdc.gov/coronavirus/2019-ncov/faq.html

*3. https://www.who.int/…/novel-…/advice-for-public/myth-busters

*4. https://www.health.gov.au/…/coronavirus-covid-19-current-si…

*5. https://www.nationalgeographic.com/…/what-happens-to-coron…/

 

লেখক ঃ স্বাধীনতা সেনিটারিয়ান পরিষদের সাংগঠনিক উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য প্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট।