• ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বড়লেখায় অনিশ্চতায় দিন কাটাচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা; খোঁজ নেই শ্রমিক নেতাদের

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ৭, ২০২০
বড়লেখায় অনিশ্চতায় দিন কাটাচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা; খোঁজ নেই শ্রমিক নেতাদের

মস্তফা উদ্দিন,বড়লেখা:করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব ঠেকাতে গনপরিবহনের চাকা বন্ধ দু’সপ্তাহ দরে। সড়কে দাপিয়ে বেড়ানো বাস,সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত রিক্সার ঠাঁই হয়েছে বিভিন্ন স্ট্যান্ড ও গ্যারেজে। এমন পরিস্তিতিতে বিপাকে পড়েছেন মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার প্রায় কয়েক হাজার সিএনজি ও বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক। এদের মোধ্য অনেক শ্রমিক রয়েছেন ট্রিপ হিসাবে অায় করতেন। অল্প কিছু শ্রমিক রয়েছেন মাসিক বেতনে। সে সংখ্যাটি অত্যান্ত নগণ্য। জানা গেছে, গনপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবহণের সাথে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক এখন মানবেতর জিবনযাপন করছেন। প্রতিমাসে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের নামে চাঁদা আদায় করা শ্রমিক নেতাদেরও পাশে পাচ্ছেনা তাঁরা। কখন অবস্থা স্বাভাবিক হবে এই নিয়ে চরম অনিশ্চতায় দিন কাটাচ্ছে তাদের। উপজেলার বিছরাবাজার এলাকার ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক হারুন মিয়া বলেন, ১১ দিন ধরে পরিবার নিয়ে খুবকষ্টে জিবন কাটাচ্ছি। যা সঞ্চয় ছিল তা সব শেষ।ঘরে খাবার নেই। প্রতিদিন আমাদের কল্যাণের নামে সমিতিতে চাঁদা দিতাম। কিন্তু এই দুঃসময়ে শ্রমীক নেতাদের কেউ খুঁজও নিচ্ছে না। এভাবে আর কিছুদিন চলতে থাকলে বউ বাচ্চারা নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। বড়লেখা পৌর এলাকার হাটবন্দ কলনীর সুমন আহমদ, রেল কলনীর কামাল হোসেন একই প্রতিক্রিয়া জানান। তাদের অভিযোগ -প্রতিদিন স্ট্যান্ডে ১০ টাকা করে আদায় করা হত শ্রমিক কল্যাণের নামে কিন্তু আজ ১১ দিন দরে রিক্সা বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্তায় স্ট্যান্ডের সভাপতি সম্পাদক কেউ তাদের খুঁজ নিচ্ছেনা। সরকারি কোন ত্রান পাননি। তালিমপুর ইউনিয়নের মুর্শিদাবাদকুরা গ্রামের সিএনজি চালক রিয়াজ উদ্দিন,দাসের বাজার লঘাটি গ্রামের ইদন,চুলার কুড়ি গ্রামের সুমন দাস বলেন, বড় অনিশ্চতার মধ্যে দিন কাটছে। একদিকে করোনা আতংক অন্যদিকে রোজিরোজগার নেই। চাল,ডাল নেয়ার মত টাকাও নেই,কেউ কোন খবর নিচ্ছে না, একদিগে করোনা আতংক অন্যদিগে অনিশ্চতার মোধ্য আছি। এব্যাপারে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা সমিতির বড়লেখা উপজেলা শাখার সম্পাদক সেলিম উদ্দিন বলেন, এই দূঃসময়ে আমরা পাশে কাউকে পাচ্ছিনা। যারা বেশি দূর্বস্থায় আছেন অামরা তাদের লিষ্ট তৈরি করছি । দু’একদিনের ভিতরে আমাদের ব্যাটারি চালিত রিক্সা চালকদের ত্রাণ দেয়ার ব্যস্থা করা হচ্ছে। বড়লেখা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হোসেন ও সম্পাদক আব্দুল হক বলেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩২ টি সিএনজি স্ট্যান্ড রয়েছে। শ্রমিক রয়েছেন প্রায় ৭হাজারের মত যাদের বেশির ভাগ প্রতিদিনের গাড়ি চালিয়ে আয়ের উপরে চলত। আজ ১১ দিন দরে গাড়ি বন্ধ তাকায় অনেকেই খেয়ে না খেয়ে আছে। এ বিষয়ে আমরা উপজেলা পরিষদ ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করছি।আশা করছি শীগ্রই ত্রাণের ব্যবস্থা হবে।