বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি হলে পরবর্তীতে ওই ১১টি পরিবারের মধ্যে তাজুদ মিয়ার পরিবারকে ত্রাণ প্রদান করেন। আতিক উল্যাহ মেম্বার এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান তাকে প্রথমে ১২ জনের নামে ত্রাণ দিয়েছেন। পরে আরও ৭ জনের নামে ত্রাণ দিয়েছেন। এর মধ্যে তিনি পশ্চিম পদিনাপুরে ২ দফায় ৫ জনকে দিয়েছেন এবং অন্যান্য এলাকায় ১৪ জনকে দিয়েছেন। পশ্চিম পদিনাপুরের আকামত মিয়া ও আক্তর মিয়ার প্রতি স্বজনপ্রীতি করার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি চুপ করে থাকেন।
সর্বশেষ ২৭ এপ্রিল ইউপি কার্যালয়ে ত্রাণের চাল বিতরণের খবর পেয়ে পশ্চিম পদিনাপুরের মটুক মিয়ার স্ত্রী রাবিয়া বেগম সেখানে যান এবং চেয়ারম্যান আজিরুদ্দিনের সামনেই আতিক উল্যাহ মেম্বারের কাছে জানতে চান, ‘আমি আপনার কাছে কি অপরাধ করেছি ? আজ পর্যন্ত কখনও আমি সরকারী কোন সাহায্য পাইনা কেন’ ? জবাবে আতিক উল্যাহ মেম্বার বলেন, ‘‘তুমি চৌধুরী সাবের বেটি। তোমাকে ত্রাণ দেয়ার মানুষের অভাব নাই। তোমার টাউনের মানুষ আছেন, সাংবাদিক আছেন। আমি কেন তোমাকে ত্রাণ দিব’ ? এসময় অন্য একজন মেম্বার রাবিয়া বেগমকে ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যানকে বলে ত্রাণের চাল দিয়ে বিদায় করেন।
ভূক্তভোগী রাবিয়া বেগম জানান, এ পর্যন্ত ইউনিয়ন থেকে যতবার যত সাহায্য সহযোগীতা বিতরণ করা হয়েছে, ততবারই একই কথা বলে আতিক উল্যা মেম্বার আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আতিক উল্যাহ মেম্বারের এরুপ আচরণের কারণ জানতে চাইলে রাবিয়া বেগম জানান, চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে প্রতিপক্ষের জমাকৃত আমার দেড়লাখ টাকা হতে ২৫ হাজার টাকা পরে দিবেন বলে চেয়ারম্যানের দোহাই দিয়ে আতিক উল্যাহ মেম্বার রেখে দিতে চেয়েছিলেন। আমি সব টাকা একত্রে ছাড়া নিতে রাজী না হওয়ায়, সেইথেকে আতিক উল্যাহ মেম্বার আমার সাথে এরুপ আচরণ করে আসছেন। ইতিপূর্বে আমি একাধিকবার বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানালে তিনি বলেন, তুমি পাওয়া উপযুক্ত। কিন্তু তোমার মেম্বার তোমাকে না দিলে আমার কিছু করার নেই।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুধু মটুক মিয়ার স্ত্রী রাবিয়া বেগমই নয়, আতিক উল্যাহ মেম্বারের বিরুদ্ধে ওই ওয়ার্ডের আরও অনেকেরই বৈষম্যমূলক আচরণ ও স্বজনপ্রীতির গুঞ্জন রয়েছে।