• ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

“পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন ভবনের কাজের অগ্রগতি কাচ্ছিম গতিতে”

admin
প্রকাশিত আগস্ট ২৬, ২০২১
“পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন ভবনের কাজের অগ্রগতি কাচ্ছিম গতিতে”

মোঃ শামীম আহমেদ জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী: বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে। বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সাগরকন্যা জেলা পটুয়াখালীতে ২০১০ সালে কলাপাড়া পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সফরে আসায় পটুয়াখালী ১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মোঃ শাহজাহান মিয়ার অনুরোধে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজের ঘোষণা দেন বতর্মান সফল ও উন্নয়নশিল রাষ্ট্রের রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা।

২০১০ সালে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জমি অধিকারন সহ একনেকে বৈঠক সভায় মেডিকেল কলেজের প্রজেক্ট বাবদ বরাদ্দকৃত প্রায় পাচশত কোটি টাকা সহ চার বা পাচ বছরের সময় বেধে দিয়ে গনপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে টেন্ডার দিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজের প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

২০১৪ সালে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ শুভ উদ্ভোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবং পটুয়াখালী সরকারি হাসপাতালের আই সি ও ভবনের তৃতীয়তলা বিল্ডিং এর মধ্যেই একাডেমি কার্যক্রম পরিচালিত অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশের সকল সরকারি মেডিকেল কলেজের এম বি বি এস এর বিভিন্ন সংখ্যা অনুযায়ী কোটা ভিক্তিক অনুসারে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকে। সেই ভাবে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ৫১টি কোটা থাকা অবস্থায় প্রতি বছরে ৫১ জন শিক্ষার্থীদের ভর্তি হয়।

তাই প্রতি বছরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি অনুযায়ী ২০১৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত সাত বছরে ৫১×৭ =৩৫৭ জন শিক্ষার্থী যা বতর্মান একাডেমি ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে খুবই কষ্টকর। পটুয়াখালী গনপূর্ত বিভাগ কে একাধিক বার তাগিদ দিলেও বিভিন্ন ভবনের কাজের গতি খুবই কম। এবং সাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সহ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক সহ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের প্রজেক্ট পরিচালক ও পটুয়াখালী সিভিল সার্জন সহ পটুয়াখালী মেডিকেল এসোসিয়ান একাধিক বার দ্রত গতিতে কাজের অগ্রসর হওয়ার অনুরোধ করে। এম বি বি এস শিক্ষার্থীদের থাকা ও শিক্ষা কার্যক্রমে অনেক সময় অনেক ব্যাহত হয়।

আজ সাত বছরে অতিবাহিত হওয়ায় এখন পযর্ন্ত কোন ভবন হস্তান্তর দিতে ব্যার্থ হন। গনপূর্ত বিভাগ। বিভিন্ন ভবনের এখন পযর্ন্ত ৩০% কাজের বাকি রয়েছে। এবং তিন চারটি ভবনের এখনো ৫৫% কাজ বাকি রয়েছে যা আগামী অর্থ বছরে দিতে পারেন কিনা সেই রকম কোন প্রচেষ্টা নেই গনপূর্ত বিভাগের।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধার কথা ভেবে এবং পটুয়াখালী জেলার সাধারণ জনগণের চিকিৎসার সাফল্যের করার লক্ষ্যে অতিদ্রুত কাজের গতি বাড়িয়ে দিতে পটুয়াখালীর সাধারণ জনগণ গনপূর্ত বিভাগ কে অনুরোধ করেন।