• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

admin
প্রকাশিত আগস্ট ২৮, ২০২১

শ্রীমঙ্গল মাছ বাজারের পলেস্তরা ধ্বসে পড়ে দুই মাছ ব্যবসায়ী আহত

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মাছ বাজারের পলেস্তরা ধ্বসে পড়ে দুই মাছ ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। আহতদের শ্রীমঙ্গল সদর ৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে বার বার পলেস্তরা ধ্বসে ক্রেতা ও বিক্রেতা আহত হলেও নেই স্থায়ী সমাধানের সারা শব্দ।
সরজমিনে দেখা যায়, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মাছ বাজারের পশ্চিম পাশের লাইনের উপরে ছাদের বিশাল অংশের পলেস্তরা খসে পড়েছে মাছ ব্যসায়ীদের উপরে। উপরে ছাদের পলেস্তরা খসে রড বেড় হয়ে আছে।

এ সময় মাছ ব্যবসায়ী মফিজ মিয়া জানান, অন্যান্য দিনের মতো ২৮ আগষ্ট শনিবার সকালে সবাই বাজারে মাছ নিয়ে বিক্রয়ের জন্য বসেন। বেলা দেড়টার দিকে মাছ বাজারের পশ্চিম দিকের শেষ মাথায় হঠাৎ করেই ছাদের পলেস্তরা এর বিশাল অংশ ধসে পড়ে ছাদের নিচে থাকা ফাহিম মিয়া (১৮) ও মিনার মিয়া (৭০) আহত হন। তাদের হাত ও মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগে রক্ত বের হতে থাকে। পরে আমরা দ্রুত তাদের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।

শ্রীমঙ্গল লালবাগ এলাকার মাছ ব্যবসায়ী আহত মিনার মিয়া জানান, প্রায় ৩০/৩৫ বছর আগে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা কর্তৃক এই মাছ বাজারটি নির্মান করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে বাজারের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়তে শুরু হয়। বিষয়টি পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে জানালেও অদ্যাবদি কোন কাজ হয়নি। শনিবার দুপুরে তার মাথা ও হাতের উপর পড়ে তিনি আহত হন।

মাছ ব্যবসায়ী করিম মিয়া বলেন, পুরো বাজারের ছাদের প্রলেপ গুলো ঝুকিপুর্ণ ভাবে আছে। এর আগেও গত ২৪ এপ্রিল ছাদের প্রলেস্তরা পড়ে সালামুন (৩০) নামে আরো এক মাছ ব্যবসায়ী আহত হয়েছিলেন।তাকেও হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছে। এ ছাড়াও ছোটকাটো ঘটনা প্রায়শ্চই ঘটছে। তিনি জানান, এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষের আসেন মাছ ক্রয় ও বিক্রয় সংক্রান্ত কাজে। এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজার। এখানে মাছ ক্রয় করতে এসে অনেক ক্রেতাও আহত হয়েছেন। এখন তারা ভয়ের মধ্যে থেকে মাছ বিক্রি করেন।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, এটি ১৯৮৭ সালে করা হয়ে ছিল। পলেস্তরা ধ্বসে পড়ার বিষয়টি তারা অবগত আছেন। যখনই পলেস্তরা ধ্বসে তখনই তারা কাজ করে দেন। স্থায়ী সমাধান করতে হলে এটি ভেঙ্গে নতুন করে করতে হবে। এর জন্য তারা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন কিন্তু এখনও অনুমোদন হয়নি।