• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মানবপাচারের অভিযোগ উঠায় মালয়েশিয়া জনশক্তি পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত

admin
প্রকাশিত জুন ২৩, ২০১৮

ষ্টাফ রিপোর্টার: অভিবাসী কর্মীদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ উঠায় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী এম কুলাসেগারান গত শুক্রবার মালয়েশীয় পত্রিকা ‘দ্য স্টার’ এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মন্ত্রী জানান বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর প্রক্রিয়া তারা স্থগিত ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেছেন, মালয়েশিয়ায় লোক নেয়ার চলমান প্রক্রিয়াকে স্থগিত ঘোষণা করছি। আবার পুরনো প্রক্রিয়ায় কর্মী নিয়োগ চলবে। যা সরকার এই প্রক্রিয়ার ব্যবস্থাপনায় থাকবে। অভিবাসী কর্মীদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ উঠায় তা নিয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে।

যদিও মালয়েশিয়ান পত্রিকা ‘দ্য স্টারের’ প্রতিবেদনে মানব পাচার চক্রের হোতার নাম প্রকাশ করেনি তারপরও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠাতে যেখানে মাথাপিছু দুই হাজার রিংগিত খরচ হওয়ার কথা, সেখানে এজেন্টরা বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে ২০ হাজার রিংগিত নিচ্ছে। এর অর্ধেক টাকা ওই চক্রের হাতে যাচ্ছে। যার বিনিময়ে তারা ওয়ার্ক পারমিট ও বিমানের টিকেটের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। ওই চক্রটি মালয়েশিয়া সরকারের উপরের মহলে যোগসাজশের মাধ্যমে বাংলাদেশে এজেন্ট অনুমোদন দিয়ে এই কারবার গড়ে তুলেছে।

হঠ্যাৎ সে দেশটির সরকার এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ হিসেবে জানা যায়,দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য স্টারের’ প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে একটি মানবপাচার চক্র মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজশে এজেন্সিগুলোকে নিয়ে সিন্ডিকেট করে শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই বছরে অন্তত ২০০ কোটি রিঙ্গিত হাতিয়ে নিয়েছে। এই অভিযোগ ওঠার পর দেশটির সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয় । সম্প্রতি মালয়েশিয়ার ক্ষমতায় আসেন দেশটির আধুনিকায়নের জনক মাহাথির মোহাম্মদ। সাবেক নাজিব রাজাক সরকারের দুর্নীতির বিচারসহ সবক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রভাবমুক্তির কাজে মনোযোগ দিয়েছেন তিনি।

এই প্রক্রিয়ায় ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত এক লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় গেছে। এখনো আরও অন্তত একলাখ শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অপেক্ষায় আছে এমনটিও উল্লেখ করে ‘দ্য স্টার’।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বিগত সরকারের সময়ে যেভাবে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি নেয়া হচ্ছিল তাতে শ্রমিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের বাড়তি অর্থ আদায় করা হচ্ছিল। আর তা যাচ্ছিল দুই দেশের কিছু দালালের পকেটে।
তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে তদন্ত করছে মালয়েশিয়া। সমস্যাগুলো দূর করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। শিগগিরই আমরা একটি সমাধান খুঁজে বের করতে পারব। তার আগ পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকার পুরনো পদ্ধতিতে (জি টু জি) ফিরে যাবে, যাতে আবেদন প্রক্রিয়া চালু রাখা যায়।