শহর প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তারের অবহেলায় শিশুমৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে- গত ২১ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের প্রবাসী আলাউদ্দিনের অসুস্থ্য শিশুপুত্র নাহিদ (৬)-কে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃতঃ ঘোষনা করেন। ¯স্বজনরা শিশুটিকে বাড়ীতে নিয়ে যাবার পর হাত-পা নাড়ছে দেখে বিকাল ৩টার দিকে তাকে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন হাসপাতালের আরএমও ডাঃ পলাশ রায় পরীক্ষা করে তাকে মৃতঃ ঘোষনা করেন। এসময় শিশুর বিক্ষুব্ধ ¯স্বজনরা হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তারগণকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। মৃতঃ শিশুটির ¯স্বজন রুমন চৌধুরী জানান- বাড়ীর পুকুরে ডুবে যাওয়া শিশু নাহিদকে উদ্ধার করে জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এসময় সেখানে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকা কর্তব্যরত ডাক্তার কোনপ্রকার চিকিৎসা না করেই শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরী চিকিৎসা দিলে শিশুটিকে হয়তো বাচানো যেতো। উপস্থিত বিভিন্ন লোকজন জানান- মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ডাক্তার-কর্মচারীদের কাছে রোগীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগের কয়েকজন ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী বিভিন্ন ডায়ানষ্টিক সেন্টার, ক্লিনিক, ফার্মেসী এবং এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা হাসপাতাল এলাকায় এককভাবে নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে নিতে তৎপর থাকে সারাক্ষন। তারা নিজেদের মালিকানাধীন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ফার্মেসীতে রোগীদের পাঠানোর জন্য ব্যস্ত থাকে। এদের কেউ কেউ রোগীদের কাছ থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শনপূর্বক অর্থ আদায় এবং একাধিক দালাল শ্রেণীর লোক এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রোগীদের সিলেট বা ঢাকায় নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।