• ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মৌলভীবাজারে মনু নদীর উপর সেতু নির্মাণের সম্বাব্য স্থান পুনর্বিবেচনার দাবী এলাকাবাসীর

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ১৬, ২০২১
মৌলভীবাজারে মনু নদীর উপর সেতু নির্মাণের সম্বাব্য স্থান পুনর্বিবেচনার দাবী এলাকাবাসীর

বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বড়হাট-কুসুমবাগ আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে মনু নদীর উপর সেতু নির্মাণের সম্বাব্য সেতুর স্থান পুনর্বিবেচনার দাবীতে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে স্থান পরিবর্তনের জোর দাবি জানান পৌরসভার বরহাট কুসুমবাগ এলাকাবাসী ।

সম্প্রতি মনু নদীর পৌর এলাকায় সেতু নির্মাণের স্থান পূননির্বাচনের জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী বরাবরে লিখিত আবেদনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে এর অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে । মৌলভীবাজার জেলা সদর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বড়হাট, কুসুমবাগ আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে মনু নদীর উপর সেতু নির্মাণের সম্বাব্য সেতুর স্থান পুনর্বিবেচনার জোর দাবী করেছেন এলাকাবাসী। ৭ নং চাঁদনীঘাট সংলগ্ন এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনামন্ত্রী গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এলাকায় উপস্থিত হয়ে বড়হাট মনু নদী ও এর পাড় পরিদর্শন শেষে সেতু নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী স্থান পুনর্বিবেচনার জন্য লিখিত আবেদন জানান,যে স্থানে সেতুটি নির্মানের পরিকল্পনা হচ্ছে তা এলাকাবাসীর জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সেতুটি নির্মিত হলে আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে চলাচলকারী যানের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে যা একটি আবাসিক এলাকায় তীব্র যানজটের সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। এমনিতেই এলাকার মধ্য দিয়ে চলাচলের জন্য বিদ্যমান সড়কটি প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট সরু। এছাড়াও উক্ত স্থানের মাত্র ৩০০-৩৫০মিটারের মধ্যে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও একটি চৌরাস্তা রয়েছে যার দরুন এই সরু রাস্তাটির ব্যবহারকারীরা এবং ঘনবসতি এলাকায় প্রতিনিয়তই যানজটের শিকার হতে হবে। তার উপর যদি প্রস্তাবিত স্থানে একটি সেতুও নির্মিত হয় তবে যানের যে চাপ সৃষ্টি হবে তা নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে যা ভয়াবহ যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আবার,উক্ত স্থানে সেতু নির্মিত হলে এলাকার এমন বহু লোকের বসতভিটা অধিগ্রহনের প্রয়োজন পড়বে যারা শত শত বৎসর যাবত ওই স্থানে বসবাস করে আসছে এবং তাদের বসবাসের অন্য কোন জায়গা নেই। ফলে অনেক মানুষ নিজেদের একমাত্র সম্বল হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে।‌ এছাড়াও তারা উল্লেখ করেন,একটি আবাসিক এলাকায় আকস্মিকভাবে জনসাধারণের আনাগোনা বৃদ্ধি পাবে যা এলাকার পরিবেশ,আইন-শৃংখলা ইত্যাদির উপর বিরুপ প্রভাব ফেলবে। মাদকদ্রব্যের ব্যবহার ও ইভটিজিং এর মত অপরাধের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান স্থান হতে আনুমানিক ১কিলোমিটার পূর্ব দিকে চাঁদনীঘাট এলাকায় ইতোমধ্যেই একটি সেতু বিদ্যমান ফলে অল্প দূরত্বেই আরো একটি সেতুর প্রয়োজনীতা নেই।

 

তারা উপরন্তু বিষটি বিবেচনায় এনে সেতুটি যদি বর্তমানে প্রস্তাবিত স্থান হতে মাত্র ১.৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় নির্মিত হয় তাহলে শুধু সাবিয়া ও বলিয়ারভাগ গ্রামবাসীই নয় বরং পার্শ্ববর্তী আরো অনেক গ্রাম যেমন-বালিকান্দি, ঢেউপাশা, মমরুজপুর,সম্পাসী,আশিয়া,উলুয়াইল ইত্যাদি এলাকার মানুষ চলাচলে সুবিধা লাভ করবে। পাশাপাশি শহরের আয়তন বৃদ্ধি পাবে,বহু অর্থ ব্যয়ে নির্মিত অথচ বর্তমানে অব্যবহৃত অবস্থায় থাকা পৌর বাস টার্মিনালটি সচল হবে, মৌলভীবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডটি যানজট ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিজনিত ঝুঁকি হতে মুক্ত থাকবে। স্থানীয় এলাকাবাসী সেতু নির্মানের ক্ষেত্রে আরো ব্যাপক যাচাইপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানান।