• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

তরুণ লেখিকা আসমাউল হোসনা চৌধুরী ও শিশু কন্যা এলিনা বখত রিজা’র যুক্তরাষ্ট্র গমন উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা

admin
প্রকাশিত জুলাই ১৫, ২০১৮

ষ্টাফ রিপোর্টার : ‘ড্রিম সেলার’ কাব্য গ্রন্থ্যের তরুণ লেখিকা আসমাউল হোসনা চৌধুরী (জাফরিন) ও উনার ২বছর বয়সী শিশু কন্যা এলিনা বখত রিজা’র যুক্তরাষ্ট্র গমন উপলক্ষে স্থানীয় আর.এস কায়রান রেষ্টুরেন্টে এক বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় । যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসরত স্বামী ও উনার পরিবার এর সাথে বসবাসের উদ্দেশ্যে চলতি জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে উনি সেখানে চলে যাবেন । তাই উনার কয়েকজন সহপাঠি ও পরিবার এর নিকট আত্মীয়দের যৌথ উদ্দ্যেগে এই আয়োজন । এই আয়োজনটির মূল পরিকল্পনায় ছিলেন নাসরিন আক্তার মুন্নি । গত ১৩ জুলাই বিকেল সাড়ে চারটায় জাফরিন ও উনার মেয়ে এলিনাকে সবাই ফুল দিয়ে স্বাগত জানান উক্ত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্টানে । আয়োজকদের ব্যানারে ইংরেজীতে লিখা কথাগুলি ছিল বিদায়বেলাকে অনুধাবন করার মত ‘We Will Miss you ALEENA & JAFRIN, So we are not going to say goodbye, Just see you again JAFRIN & ALEENA & Pray to Allah for your happy life with family…’

তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ-বিদায় । মাত্র তিন অক্ষর । কিন্তু শব্দটির আপাদমস্তক অন্য রকম কষ্টমাখা আবেগ মেশানো । শব্দটা কানে আসতেই মনটা কেন যেন বিষন্ন হয়ে ওঠে। এমন কেন হয় ? কারণ এটা প্রিয়জনের বিদায় বলে কথা । প্রিয়জনের বিদায় নেয়ার বিষয়টি হচ্ছে একটি নিবিড় বন্ধন অজানা সময়ের জন্য ছিন্ন হওয়ার মত । যা খুব সহজে ভোলা যায় না। তবে বিদায়বেলার কষ্টের মাঝেও আনন্দ থাকতে পারে যদি সান্তনার সংকট না থাকে। যেমন একটি পরিবারকে ছেড়ে হলেও আরো একটি পরিবারকে আপন করে পাবার সান্তনা, এলিনা তার বাবাকে আরো বেশি কাছে পাবার সান্তনা । তাই কবির ভাষায় বলতে হয় “যেতে নাহি দিতে চাই, তবু যেতে দিতে হয়”। এই বাক্যের কাছে নতি স্বীকার করে, জীবনের তাড়নায় আরো সামনে এগুনোর পথ প্রশস্থ করতে আসমাউল হোসনা চৌধুরী (জাফরিন) ও উনার ২বছর বয়সী শিশু কন্যা এলিনা বখত রিজা’কেও ওর সহপাঠি এবং নিকট আত্মীয়েরা শুভ বিদায় জানাতে হল।

উক্ত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্টানে জাফরিনের সহপাঠিদের মধ্যে ফতেমা বেগম চৌধুরী রিপা, ঝুমা সুলতানা চৌধুরী, শারমীন সুমা ও উনার স্বামী হেলাল মিয়া চৌধুরী, তানিমা চৌধুরী রাকি, রিপন আহমেদ এবং নিকট আত্মীয়দের মধ্যে মামাত্ব বোন তাহেরা আক্তার শিপা ও উনার স্বামী আহসান হাবিব বখস তুহিন ,চাচাত্ব ভাইয়ের স্ত্রী তারিন লিজা, তালাত্ব বোন লিপু, খালাত্ব ভাই জহির উদ্দিন আহমেদ তানিম ও উনার স্ত্রী সুলতানা জাহান, তালাত্ব ভাই ইউসুফ জাহান ,খালাত্ব বোন রাহনুমা চৌধুরী সুমাইয়া, ভাগনা-ভাগনীদের মধ্যে মুহাইমীন রুম্মান চৌধুরী, হুমায়রা মান্নান, মাসকুরা মান্নান, নাহিয়ান জান্নাত, সাকিয়া, তালহা হাবিব বখস, উমায়ের হাবিব বখস, উমাঈদ হাবিব বখস, রায়ান রশীদ চৌধুরী ও ফারাজ । এছাড়াও সহপাঠিদের মধ্যে সায়েক আহমদ, মিলাদ হোসেন, রুহিন চৌধুরী ও নাজমা আক্তার ব্যাক্তিগত সমস্যার কারণে উপস্থিত না হতে পারলেও ফোনালাপ হয় । পরিবার এর পক্ষ থেকে আসমাউল হোসনা চৌধুরীর একমাত্র বড় ভাই শাহনেওয়াজ চৌধুরী সুমন ও উনার স্ত্রী নাসরিন আক্তার মুন্নিও উপস্থিত ছিলেন । সাদিয়া রহমান চৌধুরী ঝুমা’র সঞ্চালনায় ঘরোয়া পরিবেশে বিদায় প্রাসঙ্গীক মুক্ত আলোচনায় প্রায় সবাই অংশগ্রহণ করেন । প্রত্যেকেই জাফরিনের ভাল দিক ও পুরানো স্মৃতিগুলো উপস্থাপনের পাশাপাশি এলিনা এবং জাফরিনের আগামী দিনগুলোর শুভ কামনা করেন । অশ্রশিক্ত চোখে জাফরিনও সবার উদ্দ্যেশে দু চারটি কথা বলেন এবং এই আয়োজন ও সবার আন্তরিক উপস্থিতির জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন । শুভাকাঙ্খীদের ¯স্নেহ ও ভালবাসায় তিনি মুগ্ধ । শিশু কন্যা এলিনা ও তার স্বামী পরিবার এর জন্যও দোয়া চান সবার কাছে । অতঃপর আপ্যায়ন শেষে সবার পক্ষ থেকে কাঠে খচিত বিশেষ ‘বিদায় পত্র’ তাকে উপহার প্রদান করা হয়।

ইংরেজী সাহিত্যে ¯স্নাতকোত্তর আসমাউল হোসনা চৌধুরী ২০১৫ ইং সালে আহমদ বখত চৌধুরী রতন এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । আহমদ বখত চৌধুরী রতন ও উনার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসরত তাই আসমাউল হোসনা চৌধুরী ও উনার মেয়ে এলিনা বখত রিজা সেখানে পরিবার এর সাথে বসবাস এর জন্যই মূলত প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্রে গমন করছেন । তাই যাবার পূর্বে তিনি সকল আত্মীয় স্বজন,বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্খীদের যাদের সাথে দেখা হয়েছে কিংবা যাদের সাথে দেখা হয়নি সকলের কাছেই চলার পথের অনাকাঙ্খিত ভুল- ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও দোয়া কামনা করেন।