• ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বড়লেখায় শিক্ষকের উপর হামলা-গ্রেফতার ৩, প্রধান আসামি পলাতক

admin
প্রকাশিত মে ১৯, ২০২০
বড়লেখায় শিক্ষকের উপর হামলা-গ্রেফতার ৩, প্রধান আসামি পলাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বসত বাড়িতে অর্তকিত হামলা চালিয়ে বেসরকারি বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও ৩ নারী সহ ৫ জন কে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের মুদৎপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
এসময় হামলাকারীরা শিক্ষক ছাড়া আরও তিন নারী সহ ৫জন কে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আহত করে। এঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করলেও প্রধান আসামী জবরুল ইসলাম সহ অন্য আসামীরা রয়েছে পলাতক।

আহতরা হলেন- শিক্ষক আছাদ আহমদ বাপ্পি, তার মা হেনা বেগম, মামি মিনা বেগম,মামাতো বোন সাফিয়া বেগম ও বদরুল ইসলাম, এসময় তাদেরকে স্হায়ীরা উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে হেনা বেগম ছাড়া অন্যদের অবস্থার অবনতি হলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করাহয়।

ঘটনায় রাতে আহত সাফিয়া বেগম বড়লেখা থানায় বাদী হয়ে ১৩জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু সাঈদ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন।গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের মুদৎপুর গ্রামের মনির মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ (২০), ফাতির আলীর ছেলে পচাই মিয়া (৪২) মনোফর আলীর ছেলে আতাব উদ্দিন (২৪),। গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামীকে রোববার বিকেলে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করেছে।

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আছাদ আহমদ বাপ্পি মুদৎপুর গ্রামে তার নানা বাড়িতে থাকেন। সে এলাকার একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সেখানে তার নানার বাড়ির সাথে একই গ্রামের জবরুল ইসলাম গংদের ভূমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ সংক্রান্ত বিষয়ে বাপ্পির সাথে জবরুলদের মনোমালিন্য হয়। এর জেরে শনিবার জবরুলের নেতৃত্বে সন্ধ্যায় আছাদ আহমদ বাপ্পির নানা বাড়িতে আসামিরা অর্তকিত ভাবে দেশিয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাড়ির ভেতরে ঢুকে বাপ্পিকে মারধর করে।এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাপ্পির মাথায় কোপ মারলে গুরুতর জখম হয়। বাপ্পিকে রক্ষা করতে তার মা হেনা বেগম, মামী মিনা বেগম ও মামাতো বোনো সাফিয়া বেগম এগিয়ে এলে তাদেরকে তারা পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। রাতেই স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হেনা বেগম ছাড়া অন্যদের অবস্থার অবনতি হলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করাহয়।এ ঘটনায় আহত সাফিয়া বেগম বাদি হয়ে শনিবার রাতে থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু সাঈদ অভিযুক্ত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেন।

বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক জানান, ‘স্থানীয়ভাবে খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়। এরপর মামলার প্রেক্ষিতে রাতেই অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার তাদের আদালতে পাঠানো হয়। প্রধান আসামি সহ অন্যরা পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।